কিভাবে আর্কাইভাল ইমেজে মেটাডাটা অ্যাড করবেন
Bengali (বাংলা) translation by Arnab Wahid (you can also view the original English article)
এই টিউটোরিয়ালে আমরা দেখবো কিভাবে —তথ্য বিষয়ক তথ্য— মেটাডাটা ইমেজে অ্যাড করতে হয়। মেটাডাটা ইমেজ লাইব্রেরি ম্যানেজ করতে সাহায্য করে। ছবির ব্যাপারে সামান্য কিছু তথ্য ছবিতেই থাকলে তা দিয়ে ছবি অর্গানাইজ করা অনেক সহজ হয়।

মেটাডাটা থাকলে মেটাডাটার তথ্য দিয়ে ইমেজ সহজেই সার্চ করে বের করে নেয়া যায়। ইমেজের ভিতরেই যেহেতু ইমেজের ডিটেইল আছে, সেটা ধরে সার্চ দাওয়া সম্ভব হয়।
পুরোনো ছবি নিয়ে কাজ করতে রীতিমত গোয়েন্দাগিরি করা লাগে। ছবি ছবি মিলিয়ে সেট বের করতে হিমশিম খেতে হয়। মাঝেমধ্যে ছবির ব্যাপারে কিছুই মনে থাকে না - তখন ছবি সর্ট করতে হারানো তথ্য খোঁজা লাগে। আসুন হারানো তথ্য দিয়েই শুরু করি।
মিসিং ইনফরমেশন
আগের টিউটোরিয়ালে, বলেছিলাম কিভাবে একটি ফটোগ্রাফের পিছনে লিখতে হয়। অনেক পুরানো প্রিন্ট করা ফটোর পিছনে ইনফরমেশন লেখা থাকে যেটা ইমেজের সম্পর্কে কোন আইডিয়া না থাকলে বুঝতে সুবিধা করে দেয়।
আপনি কি একটি স্থান না পাত্র সনাক্ত করতে পারছেন? যদি এমন কিছু ছবিতে ফুটে ওঠে তবে তা মেটাডাটায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়, এটা ক্যাটাগরি হিসেবে অ্যাড করতে পারেন। এতে ছবির ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য ছবির মেটাডাটা থেকেই পাওয়া যাবে।
সোশ্যাল মিডিয়া বড় অডিয়েন্স খুঁজে পাওয়ার জন্য বেশ ভালো একটি মিডিয়াম। এই তথ্য খুঁজে বের করতে সোশ্যাল মিডিয়ার হেল্প নিতে পারেন।
“I thought history was Victorian, Edwardian and beyond. It's not, history is now and what people crave is what they remember as kids. It could be the 60s, could be the 70s and it’s vitally important that we now say to people, can you give us your old photographs? And once we've got them we can them digitize them for future generations.’ —Norman Kirtlan, Sunderland Antiquarian Society



মেটাডাটায় কি ইনক্লুড করবেন
প্রথমে টাইটেল অ্যাড করুন। ইমেজ টাইটেল সংক্ষিপ্ত রাখার চেষ্টা করুন। আমরা মেটাডাটায় শুধু প্রয়োজনীয় তথ্য ইনক্লুড করব। টাইটেল দেয়ার সময়, কন্সিস্টেন্সি ও স্ট্রাকচার নিয়ে ভাবুন। যেমন, নাম নির্বাচনের পরে sunderland_mulberrypark এই ফরম্যাটে লেখা যেতে পারে।
এখানে একটি ক্যাটালগ নাম্বার অ্যাড করুন, অনেক বেশি ইমেজ নিয়ে কাজ করার সময় এই নাম্বার কাজে আসবে।
এরপর একটি ডেসক্রিপশনঃ ফটোগ্রাফের জন্য একটি মানানসই ক্যাপশন। এরপর ফটোগ্রাফারের নাম, স্থান, মডেলের নাম, ক্যাটাগরির নাম ইত্যাদি।
মেটাডাটার সকল তথ্য ছবির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ রাখাই আমাদের লক্ষ্য থাকা উচিৎ। যেমন একটা পোর্ট্রেট ছবিতে ব্যাকগ্রাউন্ডে দূরে কোন কুকুর দেখা যাচ্ছে বলে সেটা মেটাডাটায় উল্লেখ না করলেও চলবে।
ছবির মেইন ফিচার গুলার তথ্য মেটাডাটায় রাখুন। স্থান, কাল, পাত্র ইত্যাদি।
অনলাইনে শেয়ার করার আগে ছবির সাথে কপিরাইট নোটিশ অ্যাড করে দিতে পারেন।



ফটোতে কিভাবে মেটাডাটা অ্যাড করতে হয়
সকল ফটো এডিটিং সুইটেই মেটাডাটা নিয়ে কাজ করা যায়। যেমন, ফটোশপে গিয়ে, File এ ক্লিক করে, File Info তে গিয়ে ডাটা ইনপুট করা যায়।
ড্রপ ডাউন বাটনে গিয়ে export অপশন দেখতে পাবেন। এটা করে ফাইল সেভ করলে পরবর্তীতে সকল ইমেজের জন্য একটি ডাটা টেমপ্লেট পেয়ে যাবেন।
অ্যাডোব ব্রিজ দিয়ে বাল্ক মেটাডাটা অ্যাড করা যায়, এতে অনেক সময় বাঁচে। মেটাডাটার কারণে ফাইল সাইজ বড় হয়, কিন্তু সেটা খুবই সামান্য। আর এতে ক্যাটালগ অর্গানাইজ করতেও সুবিধা হয়।
ডিজিটাল ইমেজ ট্রান্সফারে অনেক সময় ইমেজ ইনফো হারিয়ে যায়, তাই মেটাডাটা ফাইলে এমবেড করে দিলে, সেটা ডিজিটাল ট্রান্সফারের পরেও ইমেজ ফাইলে থাকে।


