নন-মডেলদের জন্য ৭টি পোজিং টেকনিক
() translation by (you can also view the original English article)
সবাই মডেলদের সাথে কাজ করেনা। অনেক ফটোগ্রাফার সাধারণ মানুষের ছবি তুলতে পছন্দ করেন, যেখানে সাধারণ মানুষকে মডেলদের মত দেখা যায়। তো, যখন সাব্জেক্টের ক্যামেরার সামনে পোজ দেয়ার কোন এক্সপিরিয়েন্স থাকেনা, তখন তাদের চেহারা কন্ট্রোল কিভাবে করতে হয়? এখানে সাধারণ মানুষের পোর্ট্রেটে তাদের মডেলের মত লুক পেতে ৭টি টিপস দেয়া হল।
১। চুলের পোজ
আমরা সাধারণত চুলকে নিজের শরীরের অংশ বলে মনে করিনা, কিন্তু আসলেই মনে করা যায় কিন্তু! যদি সাব্জেক্টের চুল বড় হয়, তাহলে সবার আগে মানুষের খারাপ চুল চোখে পড়বে। আসলে কোনটা 'সবচেয়ে' ভালো দেখা যায়, সেটার কোন নিয়ম নেই। একেকজনের চুল একেকভাবে ভাল্লাগে।
ধরা যাক, আপনি একটি নরমাল পোর্ট্রেইট সেশন করছেন, কোন মেকআপ আর্টিস্ট বা হেয়ার স্টাইলিস্ট ছাড়া। প্রথমেই যেটা খেয়াল রাখতে হবে, কারই কাঁধে চুল পড়ে থাকলে দেখতে ভালো লাগে না। কাঁধে চুল পড়ে থাকলে, সেটার একটা ব্যবস্থা করতে হবে। ৫টি উপায়ে এই চুল ঠিক করা যায়।



- সব চুল কাধের পিছনে।
- সব চুল কাঁধের সামনে।
- সব চুল এক পাশে।
- সব চুল আরেক পাশে।
- উপরে।
কাঁধের উপর চুল যে কোন মুল্যে এড়াতে হবে। আর মডেলের উপর ডিপেন্ড করে অন্যান্য হেয়ার পজিশনগুলো সব কয়টাই কাজে আসে। পছন্দমত লুকের সাথে মিলিয়ে একটা ব্যবহার করা যায়। একজনের চুলের সিঁথি ছাড়া পাশের চুল বেশি ভালো ভাবে থাকে, তাই আমি দুইদিকে চুল রেখেই চহবি তুলেছি (#৪ ও #৫)।
চেহারার পাশ যেন ক্যামেরার দিকে থাকে, আর চুল অন্য পাশে, তাহলে ছবিতে চেহারা ভালো আসবে। এই টিউটোরিয়ালের জন্য আমি চুল উপরে বাধা প্রেফার করেছি (#৬), যেন পোসিং ইন্সট্রাকশনগুলো পরিস্কারভাবে বোঝা যায়। বিভিন্ন রকম ফটোগ্রাফি সহ পোর্ট্রেইট ও হেডশট ইমেজে এই উপ্রায়ে ক্লিন ফেস ভিউ আনা হয়।
২। থুৎনি (বা কান) সামনে রাখা
রিল্যাক্সভাবে দাঁড়ালে, বা সোজা হয়ে দাঁড়ালে একটি ভালো পশ্চার পাওয়া জায়ম কিন্তু থুৎনির নিচে একটু ফুলে থাকতে দেখা যায়। আপনি যত চিকনই হন না কেন, এটি সবারই হয়ে থাকে। এই সময় থুৎনি সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে আসা উচিৎ, যেন নাক সামনের দিকে এগিয়ে আসে এবং ছবিতে ফোকাস হয়। (অনাকর্ষনীয়) এর চেয়ে মডেলকে বলুস তার কান সামনের দিকে নিয়ে আসতে।



এই হচ্ছে কান সামনের আসার আগে ও পরের ছবির ফলাফল।



একই ব্যাপার, আগে ও পরে সাইড থেকে। এই পদ্ধতিকে বলা হয় "turtling," কারণ কচ্ছপের মত মাথা বাইরে এগিয়ে নিয়ে এসে পোজ দিতে হয়। এটি একটি অস্বাভাবিক পোজ এবং অনেক অস্বস্তিকর, কিন্তু এতে করে ছবির রেজাল্ট ভালো আসে।



একই টেকনিক একজন পুরুষ সাব্জেক্টের উপর প্রয়োগ করার পরে। সে ফিট ও অ্যাথলেটিক, কিন্তু ফটোজেনিক নয়।
৩। হাত উপরে তোলা
মানুষ স্বাভাবিকভাবে দাঁড়ালে, তাদের হাত সরাসরি প্রথমে বডির সাইডে চোখে পড়ে। এটিতে অনেক সমস্যা হয়। এতে মানুষ ছবি তোলার সময় অকওয়ার্ড ফিল করে ও অস্বস্তিতে ভোগে। দ্বিতীয়ত, তাদের হাত তাদের শরীরের মাঝের অংশের সাথে চেপে লেগে থাকে। এতে করে হাতে চাপ লেগে হাত ছড়িয়ে থাকে, ফলে হাত যত না মোটা, তার চেয়ে অনেক বেশি চওড়া দেখা যায়।



এই অবস্থায় হাতদুটি এক ইঞ্চি মাপে উপরে তুললেই তা আর শরীরের সাথে ছড়িয়ে লেগে থাকবে না, এই অবস্থায় হাত দুটি ভেসে থাকবে বসা যায়। অথবা হাত অন্য পজিশনে রাখা যায়, যেমন হিপে হাত দিয়ে হাত রাখা যেতে পারে। উপরের ছবিতে লাল দাগ দিয়ে দেখানো হয়েছে পোজ ছাড়া অবস্থায় হাতের সাইজ কেমন দেখাচ্ছিল। আর দ্বিতীয় পোজ দাওয়া ছবিতে একই হাত কত চিকন দেখাচ্ছিল।
৪। কোমড়ের আশেপাশে খালি যায়গা রাখা
সবাইকে নিজেদের চিকন দেখতে পছন্দ করেন। সাব্জেক্ট কে স্লিমিং লুক দেয়ার আরেকটি উপায় হচ্ছে তার 'ন্যাচারাল' ওয়েস্টলাইন হাইলাইট করা, অন্য কোনকিছুই সাহায্য ছাড়াই। এই অংশটি প্রায়ই মানুষের চোখে পড়ে না। এটি চোখের সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে লুক ইমপ্রুভ করা সম্ভব। আমি মডেলদের কোমড়ে হাত দিয়ে দাঁড়াতে বলি। প্রথম ছবিতে এই ছাড়া আর কোন পোজ দেয়া হয়নি। পিছনের হাতটির সাথে বডি লেগে থাকায় ছবিতে বডির মিড সেকশন তুলনামূলক ভাবে চওড়া দেখা যাচ্ছে। হাত একটু উপড়ে তুলে রাখলেই শরীর বেশি মোটা দেখা যায়না।



লাল দাগ দিয়ে প্রথম ছবির সাথে দ্বিতীয় ছবির তফাৎ হাইলাইট করে দেখানো হয়েছে। দ্বিতীয় ছবিটা দেখে বোঝা যায়, যে হাতের কারণে সাব্জেক্ট দেখতে কত বেশি চওড়া লাগতে পারে। এটা শুধু হাতের জন্যই প্রযোজ্য না। ব্যাকগ্রাউন্ডের অনেককিছুই অফেন্ডার হিসেবে কাজ করতে পারে, হলে সাব্জেক্টকে বেশি চওড়া মনে হয়। যেমন, অন্য মানুষ, গাছের গুড়ি, লাইটপোস্ট ইত্যাদি।
৫। কাঁধ ঘুরিয়ে দাঁড়ানো
এটা খুবই সাধারণ একটি টিপ, কিন্তু অনেক কার্যকর। মাথা এগিয়ে দিয়ে ক্যামেরার দিকে তাকালে মাথা অনেক বড় দেখা যায়। ফুটবল প্লেয়ার বা কোন কম্প্যানী ম্যানেজারের ছবি এভাবে তোলা যায়, কিন্তু বিউটি পোর্ট্রেইট এভাবে তুললে খারাপ দেখায়। এই অবস্থায়, সাব্জেক্টকে একটু ঘুরিয়ে নিলে, তাকে ক্যামেরায় আরো স্লিম করে দেখা সম্ভব।



এই লাল দাগে দেখা যাচ্ছে সোজা হয়ে দাঁড়ালে মডেলকে কতটা চওড়া দেখা যাচ্ছে। একটু পাশে ধুরে দাঁড়িয়ে, ক্যামেরার দিকে তাকালেই একটি স্লিম প্রোফাইল তৈরি হয়।
৬। চোখের সাদা অংশ না দেখানো
একটু দূরে তাকিয়ে ভাবুক লুকের ছবি তোলার জন্য সাব্জেক্ট যখন ক্যামেরা থেকে অনেক দূরে তাকিয়ে থাকে, তখন তাদের "এদিকে তাকাও" বলবেন না। বরং তাদের আপনার পিছনে কোন জিনিষের দিকে তাকিয়ে থাকতে বলুন, যেন তাদের আইলাইন কন্ট্রোল করতে সুবিধা হয়।



প্রথম ছবিতে মডেল আমাদের সামনের এক দরজার বাইরে তাকিয়ে ছিল। এই ছবিতে তার চোখের সাদা অংশের প্রায় সবটাই দেখা যাচ্ছে। আমাদের তার চোখের রঙিন অংশ বেশি দেখা দরকার। তাই দরজার পরিবর্তে তাকে আমি দরজার বদলে সেটার পাশের জানালার দিকে তাকাতে বলি। এই সামান্য পরিবর্তনের কারণে, তার আইলাইন দেখা যেতে থাকে, ফলে সাদা অংশ কম দেখা গিয়ে একটি অ্যাট্রাকটিভ পোর্ট্রেট তোলা যায়।
৭। নাকে যেন চেহারা নষ্ট না হয়
এই ট্রিকটা বেশ জটিল, কিন্তু জরুরী। সামনে থেকে না তুলে, যখন পাশের ছবি তুলতে হয়, তখন সাব্জেক্টকে পাশে ঘুরিয়ে নিতে হয়। একেবারে পাশের ছবি তুলতে না চাইলে, চার ভাগের একভাগ ঘুরে চোখ সামনে রেখে চেহারা সহ ছবি তুলতে হয়। এই ঘোরার সময়, দুই চোখই যেন দেখা যায়, আর নাক যেন পিছনের চোখের উপরে চলে না যায় এটা খেয়াল রাখতে হবে।



বেশি ঘুরে গেলে, নাক মুখমন্ডলের ছবিটি নষ্ট করে ফেলে। এভাবে একটি 'পিনোকিও' এফেক্ট তৈরি হয়, ফলে নাক প্রয়োজনের চেয়ে বেশি লম্বা মনে হয়। পশ্চার সামান্য অ্যাডজাস্ট করে নিয়ে এই সমস্যা ঠিক করা যায়। নাকের অগ্রাংশ যেন মুখের বাইরে চলে না যায়, এটি ফ্রেমিং এর সময় খেয়াল রাখা লাগবে। এভাবে লাইন ব্রেক হয়না, অথবা মনে হয়না যে মুখের অংশগুলো অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
সবকিছু গুছিয়ে আনা



আপনার পরের ফটোশুটের জন্য এই চেকলিস্টটি ফলো করতে পারেন।
- চুল এক কাঁধের সামনে, আরেক কাঁধ পিছনে।
- চোয়াল সামনে রেখে জ-লাইন ফোকাস করা।
- হাত কোমড়ের উপরে রাখা।
- কোমড় বেশি মোটা দেখানোর মত কিছু সামনে না থাকা।
- কাঁধ ঘুরিয়ে রাখা।
- সাদা অংশের চেয়ে চোখের রঙিন অংশ বেশি দেখা যাওয়া।
- নাক দিয়ে চেহারার সামঞ্জস্যতা নষ্ট না করা।
আপনি দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ মানুষের ছবি তুলতে গেলে তাদের কিভাবে মডেল টাইপ লুক দিয়ে থাকেন? সেই টিপ নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। যেন সেটা আমরা সবাইকে জানিয়ে দিতে পারি।